1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করছি : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৮২ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের নীতিমালা হচ্ছে, যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে দ্রুত ফল আসবে, মানুষের কল্যাণে কাজে লাগবে সেটিই নেওয়া হবে। একটা বিরাট অঙ্কের টাকা পেলাম আর একটা পরিকল্পনা নিলাম, সেটা আমরা নেব না।

আজ বুধবার (২ নভেম্বর) সকালে ১২৪তম, ১২৫তম এবং ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সগুলোর সমাপনী এবং সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলাম। পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করে আমরা কাজগুলো শুরু করি। যার মাধ্যমে আমরা এমডিজি (মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল) বাস্তবায়ন করেছি।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম।

নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি সব থেকে মেধাবী। পাকিস্তান আমলে তারা একটু সুযোগও পেত না। একজন বাঙালিও কোনো দিন সেক্রেটারি হওয়ার সুযোগ পায়নি। অথচ জ্ঞানে সবচেয়ে উৎকর্ষ বাঙালিদের বেশি ছিল। তারপরও তারা স্থান পায়নি। এ কথা মনে রাখতে হবে। একজন সচিব বাঙালি ছিল না। কোনো জেনারেল, মেজর জেনারেল, ব্রিগেডিয়ার কেউই বাঙালি ছিল না। একজন মাত্র কর্নেল হতে পেরেছিল। তার নিচে সব পদ। সব পদ তারাই দখল করেছিল। আজ আমরা সবকিছুই হতে পারছি সেটা দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই। এ কথা মাথায় রেখে সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যবদলে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

১৯৭২ সালে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে উদ্ধৃতি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অর্থাৎ জনগণের সেবক হিসেবেই নিজেদের বলতে হবে। আমি এটাই চাই যে জনগণের সেবা করে এ দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’

করোনাভাইরাস মহামারির অভিঘাতে বিশ্বজুড়ে সংকট তৈরি হলেও তা মোকাবিলা করেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে সরকার সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় ইউক্রেনের যুদ্ধ আর স্যাংশানের কারণে আজকে আমাদের যথেষ্ট সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সে জন্য আমরা বলেছি কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে সবাইকে। কৃচ্ছ্রতা সাধন করেই আমাদের চেষ্টা করতে হবে।

দেশকে গড়ে তুলতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ এবং উৎপাদন বাড়ানোকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধিটা সব থেকে প্রয়োজন। এখনকার যুগে আমি মনে করি সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একদিকে কোভিড-১৯ মহামারির যে অভিঘাত, সেই সঙ্গে সঙ্গে এসেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। তার সঙ্গে হলো আমেরিকা প্রদত্ত স্যাংশান এবং কাউন্টার স্যাংশান। ইউরোপের দেয়া স্যাংশান, যার ফলে আজকে প্রত্যেকটা জিনিস যেগুলো আমাদের আমদানি করতে হয়, সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে।

সরকারপ্রধান বলেন, এটা শুধু বাংলাদেশ না, উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। আমি জানি, উন্নত দেশগুলোর অবস্থা, এমনকি আমেরিকা, ইউরোপ, ইংল্যান্ডসহ প্রত্যেকটা দেশ এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না, খাদ্যের দাম অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, সেখানে সব জায়গায় রেশনিং করে দেয়া। এমন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।

পরিস্থতি থেকে উত্তরণে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমাদের কী করণীয়, আমি বহু আগে থেকে বলে যাচ্ছি, এক ইঞ্চি জমি যেন খালি না থাকে। কারণ আমাদের খাদ্য আমাদের উৎপাদন করতে হবে। খাদ্য আমাদের প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য আমার ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন দরকার। আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা, পুষ্টির নিরাপত্তা, সেগুলো নিশ্চিত করতে হবে, এটা আমাদের নিজেদের করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা সবসময় মনে রাখতে হবে। বাইরে থেকে নিয়ে আসাৃএটা অত্যন্ত কঠিন একটা সময় আমাদের পার করতে হচ্ছে। কাজেই সেই অবস্থায় আমরা যদি নিজেরা দাঁড়াতে পারি, সেটা হবে আমাদের জন্য সব থেকে ভালো।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..